সুন্নতে খাতনা মুসলমানির পর কি খাওয়াবেন জানুন
সুন্নতে খতনা মুসলমানীর পর বাবা মা চিন্তিত হয়ে পরেন কি খাওয়াবেন। কোন ফল খাওয়ানো যাবে কোন ফল খাওয়ানো যাবে না। যেহেতু সুন্নতে খৎনা করানো হয়েছে সেহেতু অবশ্যই এমন ফল দিতে হবে যেগুলো কাটা চামড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
![]() |
| সুন্নতে খাতনা মুসলমানির পর কি খাওয়াবেন |
সুন্নতে খাৎনার পর কোন ফল খাওয়ানো যাবে
কলা - কলা খুবই কি করে একটি ফল। যেহেতু কলা খুব নরম থাকে তাই খুব সহজেই মজা করে খাওয়া যায় এবং কলা খুব সহজেই আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায়।
আপেল - প্রতিদিন আপেল ছোট ছোট করে কেটে দিতে পারেন। আপেলের খোসা ফেলে দিবেন। এটিও মুসলমানির কাটা জায়গা তারাতারি শুকাতে সাহায্য করবে।
পেঁপে - পাকা পেঁপে ছোট ছোট পিস করে খেতে দিবেন। এই পেঁপে শরীরে ভিটামিন-এ ঘাটতি থাকলে সেটি পূরন করবে।
কাঁঠাল - যদি কাঁঠাল খাওয়ার পর অ্যালার্জিক রিয়েকশন না হয় তাহলে কাঁঠাল খাওয়াবেন। কাঁঠাল খুবই পুষ্টিকর ফল।
আম - পাকা আম খাওয়াবেন। আমে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। যা সুন্নতে খতনা সারকামসিশন এর কাটা জায়গা দ্রুত শুকাতে সহায়তা করবে।
তরমুজ - তরমুজে পানির পরিমান বেশি থাকে। শরীরে যেন পানি সল্পতা না আসে। তাই তরমুজ খাওয়াবেন। যেটি পানির ঘাটতি পূরন করবে।
কমলা লেবু - কমলা এবং লেবুতে ভিটামিন-সি এর পাশাপাশি সাইট্রাস এসিড থাকে। যা অনেক সময় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে।
আরো পড়ুন: কেন হাজাম দিয়ে খৎনা করাবেন না
সুন্নতে খতনা (সারকামসিশন) মুসলমানির পর কিভাবে ফল খাওয়াবেন এবং কতটুকু পরিমান খাওয়াবেন
শিশুদের ক্ষেত্রে - যেসকল শিশু মুখে চিবিয়ে খেতে পারে। ওদেরকে ছোট ছোট পিস করে দিবেন। যারা মুখে চিবিয়ে খেতে পারে না ওদের জন্য রস করে বা পিউরি করে খাওয়াতে পারেন। প্রথমে অল্প দিয়ে শুরু করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারের পরিমান বাড়াবেন।
বড় বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে - বয়স্ক রোগীদের জন্য একটি পুরো ফল খেতে পারবেন। অবশ্যই অতিরিক্ত খাবেন না।
ফলের রস করে খাওয়ালে - ফলের রসের সাথে হালকা পানি যুক্ত করে দিন। যেন রসে অতিরিক্ত মিষ্টি না থাকে।
আরো পড়ুন: ডিভাইস কসমেটিক খৎনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
সুন্নতি খৎনা মুসলমানির পর কোন ফল খাওয়ানো উচিৎ নয়
অতিরিক্ত এ্যাসিডিটি তৈরি করে এমন ফল - কাঁচা কমলা ও লেবু তে অতিরিক্ত মাত্রায় সাইট্রাস এসিড থাকে। সাইট্রাস এসিড পেটে অস্বস্তি তৈরি করে। কখনো কখনো বমি ভাবও তৈরি করতে পারে। তাই প্রথম ১ সপ্তাহ অল্প পরিমান দিতে পারেন। এ্যাসিডিটির সমস্যা হলে কাঁচা কমলা ও লেবু দেয়া বন্ধ করে দিন।
অতিরিক্ত আঁশযুক্ত/বীজযুক্ত কাঁচা ফল - আখরোট জাতীয় ফল। শিশুদের গিলতে কষ্ট হয় এবং বিপদজনক অবস্থা তৈরি হতে পারে এমন ফল দিবেন না।
অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় - অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি থেকে কাশি অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। ঠাণ্ডা পানি থেকে যদি কাশি তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে কাটা জায়গায় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: সারকামসিশন খৎনা মুসলমানি সার্জারির পর কীভাবে দ্রুত আরোগ্যলাভ করতে পারেন?
সুন্নতে খাতনা মুসলমানির পর দ্রুত সুস্থতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার দিন।
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খাওয়াবেন। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ানোর দ্বারা এসিডিটি বেড়ে গেলে পাকা পেঁপে এবং পাকা আম খাওয়াতে পারেন।
- যদি এলার্জি রিয়্যাকশন হয় বা ডায়বেটিস এর সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করুন।
- কোন জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।



.gif)
কোন মন্তব্য নেই